হল Walton Primo R 10। আকর্ষণীয় ডিভিসটি প্রায় 3/4 মাস আগে আমরা আমাদের কোম্পানির কাজগুলো ক্ষেত্রেই ব্যবহার করেছিলাম তবে এরকম কোন আনইজি ফিল হয়নি মোটামুটি ভালই সার্ভিস দিয়েছিল এই স্মার্টফোনটি। আজকের এই রিভিউতে আপনাদের মাঝে আলোচনা করব এই আকর্ষণীয় স্মার্টফোনটির ফিচার সম্পর্কে। তবে মোটামুটি কম বাজেটের ভিতরে ভালো পারফরমেন্স দেওয়া ফোনটি ব্যবহার করতে পারেন । তবে নিচের রিভিউতে ই আশা করি দুর্দান্ত এই স্মার্টফোনটির সম্পর্কে ধারণা পেয়ে যাবেন।
এখন চলে যাওয়া যাক স্মার্টফোনটির ফিচার পারফরমেন্সের দিকে।
বডি ডিজাইন এবং ব্যাটারি ব্যাকআপ
Walton কোম্পানি নরমাল বাজেটের ফোন গুলোর ভিতরে ও মোটামুটি হাই লেভেলের বডি ডিজাইন ব্যাকআপ দিয়ে থাকে ।Walton primo R10 এই স্মার্টফোনটির চারদিকে প্লাস্টিকের আবরণ দেখতে পেয়ে যাব আরো থাকছে সামনের দিকে গ্লাস যা খুবই আকর্ষণীয় একটি বিষয়। এই ডিভাইসটি বেশ কয়েকটি আকর্ষণীয় কালার নিয়ে চলে এসেছে আমাদের সামনে কালার গুলো হলো green and blue । এই আকর্ষণীয় ডিভাইসটির ওজন 186 গ্রাম যা আমার কাছে মোটামুটি পারফেক্টলি লেগেছে । এই ডিভাইসটির নিচের দিকেই তাকালেই আমরা স্পিকারের দেখা পাব । তবে স্মার্টফোনটির স্পিকারটা উপরের দিকে হলে অবশ্য একটু ভালো হতো । কারণ স্মার্টফোনটির উপরে আমরা তেমন কিছু দেখতে পাইনি প্লেনিই আছে। স্মার্টফোনটির বাম পাশে আমরা একটি গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট বাটন এর দেখা পেয়ে যাব। যা খুবই আকর্ষণীয় একটি বিষয়। তবে এই স্মার্টফোনটির আরও একটি আকর্ষণীয় দিক হলো এই ডিভাইসটির নিচের দিকে লক্ষ্য করলে আমরা সিম কার্ডের ট্রে দেখতে পেয়ে যাব। তার সাথে আপনারা মেমোরি কার্ড স্লড পেয়ে যাবেন । তার সাথে মাঝ বরাবর ইউ এস বি টাইপ সি চার্জিং পোর্ট পেয়ে যাবেন। এই ডিভাইসটির ডান পাশের দিকে লক্ষ্য করলে আমরা ভলিউম আপডাউন বাটন এর দেখা পেয়ে যাব । তার কিছুটা নিচেই আমরা দেখত পাব পাওয়ার বাটন। ব্যাটারির দিকে যদি আমরা লক্ষ্য করি তাহলে আমরা পেয়ে যাব 4850 মিলি এম্পিয়ার ব্যাটারি। যা খুবই আকর্ষণীয় একটি বিষয়।
মেমোরি পারফরম্যান্স এবং অপারেটিং সিস্টেম
এই ডিভাইসটির আইটি দুর্দান্ত বিষয় হলো অপারেটিং সিস্টেম গুগলের android ভার্সন 12 ব্যবহার করা হয়েছে। ডিমেনসিটি প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে যা এ নরমাল বাজেটের ভিতর একটি হাই লেভেলের ডিভাইসের প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে এই স্মার্টফোনটিতে। এই ডিভাইসটিতে আপনি মোটামুটি লেভেলের গেমপ্লে করতে পারবেন তাতে কোন সমস্যা দেখা দেবে না।
এই স্মার্টফোনটির আরো একটি আকর্ষণীয় দিক হলো স্মার্টফোনটিতে জিপিও ব্যবহার করা হয়েছে। তবে আমি একটা জিনিস লক্ষ্য করতে পেরেছি এই ডিভাইসটিতে যে প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে যা এই মোটামুটি বাজেটের ভিতরে অন্যান্য কোন স্মার্ট ফোনে খুব কম ব্যবহার হয়ে থাকে। এই ডিভাইসটির আরও একটি আকর্ষণীয় দিক হলো সিম কার্ড স্লডের সাথে see মেমোরি কার্ড ব্যবহার করার সুযোগ পেয়ে যাব। এই স্মার্টফোনটিতে দেয়া হয়েছে 4 জিবি রেম যা আমরা ইন্টারনাল মেমরি পারফরম্যান্স হিসেবে পেয়ে যাব। তার সাথে আরো থাকছে 64 রোম এবং এই সাথে আমরা আরো এক্সটার্নাল হিসাবে পেয়ে যাব 128 জিবি। এই স্মার্টফোনটি এক্সটার্নাল আরো কিছু বেশি হলে ফোনটি পারফেক্ট হতো তবে এই নরমাল লেভেলের রেঞ্জের বাজেটের ভিতরে 128 জিবি রোম পারফেক্ট আছে।
নেটওয়ার্ক এবং ডিসপ্লে সেটআপ
আমরা এই স্মার্ট ফোনটিতে আইপিএস এলসিডি প্যানেল দেখতে পেয়েছি
যা মোটামুটি আকর্ষণীয় একটি প্যাডেল। যা এই স্মার্টফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে। এই আকর্ষণীয় স্মার্টফোনটিতে 6.28 ইঞ্চির ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে। যায় এই স্মার্টফোনটিকে আরো একটু আকর্ষণীয় করে তুলেছে। কারণ অনেকেরই সাইজটি খুব পছন্দের। এই স্মার্টফোনটি আরও একটি দুর্দান্ত দিক হলো 720/1600 পিক্সেলের এইচডি রেজুলেশন দেওয়া হয়েছে। তবে এই স্মার্টফোনটিতে পর্ণিং গরিলা গ্লাস ব্যবহার করা হয়নি, তবে সেফটির জন্য কোম্পানি থেকে 2.6D Curved glass ব্যবহার করা হয়েছে। তবে নরমাল
বাজেটের ভিতরে Walton কোম্পানি মোটামুটি হাই লেভেরি ডিসপ্লে ব্যবহার করেছে। এই ডিভাইসটি ডিসপ্লের দিকে লক্ষ্য করলে আমরা কালারফুল ভাবেই দেখতে পাবো। আবার যদি স্মার্টফোনটির ব্রাইটনেসের দিকে লক্ষ্য করি তাহলে ব্রাইটনেস মোটামুটি ভালো। এবার জানা যাক দুর্দান্ত এই স্মার্টফোনটির নেটওয়ার্ক সম্পর্কে। এই স্মার্ট ফোনটির নেটওয়ার্ক আমরা সর্বোচ্চ 4G পর্যন্ত পেয়ে থাকবো। আমার কাছে এই স্মার্টফোনটির নেটওয়ার্ক এবং ডিসপ্লের পারফরম্যান্স অসাধারণ লেগেছে আশা করি আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে।
সিকিউরিটি সিস্টেম এবং ক্যামেরার পারফরম্যান্স
আমরা যদি এই ডিভাইসটির ক্যামেরার ফিচারের দিকে লক্ষ্য করি তাহলে দেখতে পাবো প্রাইমারি ক্যামেরায় ডুয়েল ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছে। প্রাইমারি ওয়াইট ক্যামেরায় আমরা পেয়ে যাব পেয়ে যাব 13 মেগাপিক্সেলের সেন্সর। আরো রয়েছে ডেপট ক্যামেরায় ২ সেন্সর দেওয়া হয়েছে। এই স্মার্টফোনটিতে আমরা আরো আকর্ষণীয় কয়েকটি দিক দেখতে পেয়ে যাব
যেমন এলইডি ফ্ল্যাশ, এইচডি আর সহ আরো বেশ কয়েকটি সেন্সর। সামনের ক্যামেরা মডিউলে 8 মেগাপিক্সেল পেয়ে যাব, যা আমাদের সেলফি তোলার জন্য পারফেক্টলি বলে মনে হয়েছে। এই ডিভাইসটির আরেকটি আকর্ষণীয় দিক হলো আমরা এই ফোনটির ক্যামেরার মাধ্যমে 1080 পিক্সেলের ভিডিও রেকর্ড করা যাবে।
এই ডিভাইসটিক সিকিউরিটির কথা না বললেই নয় । স্মার্টফোনটির ফিঙ্গার লক আমরা পাওয়ার বাটন এর সাথে পেয়ে যাব ।
মূল্য বা প্রাইজ
মোবাইল ফোনটির সম্পর্কে আপনাদের মাঝে আরও একটি বিষয় তুলে ধরা
যাক । স্মার্টফোনটি প্রায় ৩/৪ মাস আগে মার্কেটে রিলিজ করা হয়েছে। যেহেতু স্মার্টফোনটি মার্কেটে নতুন সেতু স্মার্টফোনটির মূল্য বা প্রাইস একটু বেশি হতে পারে তবে আবার আরো কয়েক মাস যাওয়ার পর মার্কেটে স্মার্টফোনটির মূল্য
কমে যাওয়ার আশঙ্কায় বেশি । তবে নরমাল বাজেটের ভিতরে যারা স্মার্টফোনটি পছন্দ করেছেন তাদের জন্য হয়তো ডিভাইসটি চমৎকার হতে পারে। তো বেশি কথা না বাড়িয়ে চলে যাওয়া যাক স্মার্টফোনটির প্রাইস এর দিকে। সকলের মনে একটি প্রশ্ন থাকতে পারে এই আকর্ষণীয় স্মার্টফোনটি আমরা যদি ব্যবহার করি তাহলে আমাদের কত টাকা পরিমাণ লাগতে পারে?
বর্তমান বাজারে আপনি যদি স্মার্টফোনটি ক্রয় করতে চান তাহলে আপনার খরচ হবে মাত্র 12,990 টাকা। এই নরমাল রেঞ্জের বাজেটের ভিতরে আশা করি এই ফোনটি আপনার পছন্দ হতে পারে। আপনি যদি এই স্মার্টফোনটি কিনতে চান তাহলে বর্তমান যে কোন মার্কেটে কিংবা অনলাইনেও পেয়ে যাবেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন