বডি ডিজাইন
Yamaha MT 15 এর বডি ডিজাইন নিয়ে বলতে গেলে বলা চলে এটি ইয়ামাহার তিনটি জনপ্রিয় বাইক M Slaz , Xabre এবং R-15 V3 এর একটি চমৎকার মিশ্রণ। নতুন MT-15 এর গতিকে আরও দ্রুততর ও রাইডিং স্মুথ করতে এর ডিজাইনে অনেক পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর নতুন ডেল্টাবক্স ফ্রেম ও চেসিস বাইকটিকে একটি ডার্ক ওয়ারিওর লুক দেয়।MT-15 এর একটি ট্যাগ লাইন রয়েছে ‘The Dark Side of Japan’ এর কারণ এই বাইকের রোবোটিক লুক। এর হেডলাইটের ডিজাইন এবং পজিশন খুব সহজেই রাইডারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। শুধু ডিজাইনই নয়, রাতের রাস্তায় ইয়ামাহা এম টি ১৫ এর এই এলইডি হেডলাইটের পারফরম্যান্সও বেশ প্রশংসনীয়। Yamaha MT-15 বাইকটির টেইললাইটিও বেশ স্টাইলিশ।বাইকটির সিট হাইট দেওয়া হয়েছে ৮১০মিমি এবং বাইকটির সার্বিক ওজন ১৩৮ কেজি। তাই আমাদের দেশের স্ট্যান্ডার্ড হাইটের যেকোনো রাইডার বেশ স্বাচ্ছন্দ্যেই বাইকটি চালাতে পারবে।
বাইকটির সিটিং পজিশন কিছুটা আপরাইট । কারণ, এতে ব্যবহার করা হয়েছে রডের হ্যান্ডেলবার । তাই শহরের কিংবা হাইওয়েতে দীর্ঘ সময় অনায়াসেই রাইড করতে পারবেন ।বাইকটির ফিউয়ল ট্যাংকের ধারণক্ষমতা ১০ লিটার । হুইলবেস ১৩৩৫ মিমি, গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স ১৫৫ মিমি।
বাইকটির ফুটরেস্ট কিছুটা পেছনের দিকে হওয়ায় একটা স্পোর্টি রাইডিং এর ফিল পাবেন। বাইকটির সিটিং পজিশন রাইডারের জন্য আরামদায়ক হলেও এর পিলিয়নের জন্য পেছনের সিটটি খুব একটা সুবিধার নয়।Yamaha MT-15 এর স্পিডোমিটারটি Yamaha R-15 V3 থেকে নেওয়া। Yamaha R-15 V3 এর মতই এটি সম্পূর্ণ ডিজিটাল এবং এতে রয়েছে নেগেটিভ ডিসপ্লের অপশন। এই বাইকের রিয়ার ভিউ বেশ কমপ্যাক্ট লুক দেয়। এর পেছনের চাকায় ইয়ামাহা একটি মাড-গার্ড যুক্ত করেছে। ফলে কাঁদাযুক্ত রাস্তায় পেছনের চাকা কিছুটা নিরাপদে থাকবে। ইয়ামাহা এম টি-১৫ দুইটি ভিন্ন কালারে পাওয়া যাচ্ছে। ডার্ক ম্যাট ব্লু এবং মেটালিক ব্ল্যাক। দুটি কালারই অত্যন্ত আকর্ষণীয়।
ইঞ্জিন
Yamaha MT-15 এ ব্যবহার করা হয়েছে ১৫০ সিসি সিঙ্গেল সিলিন্ডারের লিকুইড কুল্ড ৪ স্ট্রোক , ৪ ভাল্ভের SOHC ইঞ্জিন।ইয়ামাহা এম টি ১৫ তার শক্তিশালী ইঞ্জিনের কারণে সুপরিচিত । আর এর পারফর্ম্যান্স তার যথার্থতা প্রমাণ করে। বাইকটি ১০০০০ আরপিএম এ প্রায় ১৯.৩ পিএস শক্তি উৎপাদন করতে সক্ষম এবং ৮৫০০ আরপিএম এ ১৪.৭ নিউটন মিটার সর্বোচ্চ টর্ক দিতে সক্ষম।ইঞ্জিনের দক্ষতার কারণে বাইকটি ১৩০ কিমি/ 1 ঘন্টার কাছাকাছি টপ স্পিড দিতে পারে। ইয়ামাহা এম টি-১৫ এর মাইলেজের দিক থেকেও পছন্দ করার মত। এটি প্রায় ৪৫ কিমি/লিটার মাইলেজ পাওয়া যায়।ফিউয়েল ইঞ্জেকশন টেকনোলজি এবং ৬ স্পিড গিয়ারবক্স বাইকটি স্টার্ট নেয়া থেকে শুরু করে পুরো চালানোর সময়টা খুব স্মুথ রাইডিং এক্সপিরিয়েন্স এনে দেয়।
ব্রেক ও টায়ার
ইয়ামাহা এম টি ১৫ এর ব্রেকিং পারফরম্যান্স খুবই চমৎকার। বাইকটির সামনের ও পেছনের উভয় চাকাতেই রয়েছে ডিস্ক ব্রেক উইথ সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস। সামনের ব্রেকের ডায়ামিটার ২৮২ মিমি এবং পেছনের ব্রেকের ডায়ামিটার ২২০ মিমি। যা আকস্মিক ব্রেকিং এর ক্ষেত্রে আপনাকে দুর্দান্ত সাপোর্ট দিবে।বাইকটির ফ্রন্ট এবং রিয়ার দুই টায়ারই টিউবলেস। ফ্রন্ট টায়ার সাইজ ১০০/৮০-১৭ এম/সি ৫২পি এবং রিয়ার টায়ার সাইজ ১৪০/৭০-১৭ এম/সি ৬৬এইচ। উভয় টায়ারেই অ্যালয় রিম ব্যবহার করা হয়েছে যা দেখতে বেশ আকর্ষণীয়।
সাসপেনশন
Yamaha MT-15 বাইকটির সাসপেনশন সিস্টেমে ১৩০ মিমি হুইল ট্র্যাভেলসহ সামনের চাকায় রয়েছে একটি ডুয়েল টেলিস্কোপিক সিস্টেম। এবং পেছনে ৯৭ মিমি হুইল ট্র্যাভেলসহ একটি লিঙ্ক সুইং আর্ম সাসপেনশন রয়েছে। বাইকের পেছনের সাসপেনশনটি তুলনামূলকভাবে কিছুটা স্টিভ । যার ফলে রাইডিং এর সময় বিশেষ করে হাইওয়েতে এই বাইকটির কন্ট্রোলিং ভালো।
Yamaha MT 15 প্রাইস
তো আশা করি বন্ধুরা প্রায় আমরা সকলে উপরের আলোচনায় এই বাইকটির সম্পূর্ণ পারফরম্যান্স জানতে পেরেছি। এবার জেনে নিব আমরা এই বাইকটির প্রাইস সম্পর্কে। বর্তমান বাংলাদেশ বাজারে এই দুর্দান্ত ব্যগবান বাইকটির দাম হচ্ছে 5,25,000 টাকা। আর ইন্ডিয়ার বর্তমান বাজার গুলোর ভিতর 2,47,400€ rupi নির্ধারণ করা হয়েছে এই ডিভাইসটির। তো আমরা উপরের ফিচারগুলো দেখে এবং পারফরম্যান্স আর প্রাইস দেখে এটা বলতে পারছি যে বাইকটি কিন্তে হলে আমাদের কে একটু বেশি টাকা খরচ করতে হবে। তবে ফিচারগুলো অনুযায়ী বাইকের প্রাইস একটু দাওন বলে মনে হচ্ছে। তো বন্ধুরা আপনাদের কাছে কি রকম লেগেছে সেটি অবশ্যই আমাদেরকে আপনার ছোট্ট একটি কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন। আর ভালো লাগলে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে তাদেরও একটি দারুন বাইকের সন্ধান দিতে পারেন।
তবে আমাদের সর্বপ্রথম মনে রাখতে হবে যে যে কোন গাড়ি চালানোর সময় সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে কারণ একটি দুর্ঘটনাই হতে পারে সারা জীবনের কান্না।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন