যদি বলি লাখো মানুষের একটি স্বপ্ন আর সেটি বাজাজ পালসার, তবে আমার মনে হয় কোন অংশে ভূল বলা হবে না। বাজাজ কোম্পানির এই পালসার মডেলটি হল এমন একটি বাইক যা মানুষের মাঝে ১৫০ সিসি বাইকের প্রতি আগ্রহ বাড়িয়ে তুলেছে। ১৫০ সিসি সেগমেন্টে এই পালসারই একমাত্র বাইক যা প্রথম থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত সুনামের সাথে মানুষের মন জয় করে যাচ্ছে। তবে সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে এই পালসারেও বেশ কিছু পরিবর্তন হয়েছে। আজ আমরা জানতে চলেছি নতুন লঞ্চ হওয়া বাজাজ পালসার ১৫০ সিসি টুইন ডিস্ক ইউ জি ৫ সম্পর্কে। সদ্য বাজারে আসা এই নতুন মডেলটিতে কি কি নতুন সংযোজন করা হয়েছে, কি কি বাদ দেওয়া হয়েছে, ইঞ্জিন এবং বডিতে কোন পরিবর্তন হয়েছে কি না, এর সুবিধা ও অসুবিধাসমুহ, আর সর্বোপরী বাইকটি কাদের জন্য সবচেয়ে উপযোগী অর্থাৎ কারা কিনবেন সে সম্পর্কে থাকছে Digital Bangla reviews এর মতামত। তাহলে চলুন শুরু করা যাক….
এমন কোন বাইকপ্রেমী মানুষ নেই যারা পালসারের ডিজাইন সম্পর্কে অবগত নন। তবে হ্যাঁ, বাজাজ পালসার ১৫০ সিসি টুইন ডিস্ক মডেলটাতে অনেকটা আগের মত ডিজাইন করা হয়েছে। প্রথম দেখাতে আগের মডেলটার মত মনে হতে পারে কিন্তু ভালভাবে খেয়াল করলে বেশ কিছু পরিবর্তন চোখে পড়বে। এবার আসুন একনজরে সেই পরিবর্তনগুলো দেখে আসি।বাইকটির দৈর্ঘ্য 2035 mm, প্রস্থ 765 mm এবং উচ্চতা 1115 mm। বাইকটির Ground Clearance অর্থাৎ মাটি থেকে বডির উচ্চতা 165 mm। 144 Kg ওজনের বাইকটিতে ফুয়েল ধারনক্ষমতা থাকছে 15 লিটারের মত।সাসপেনশনটা অনেক ভাল মানের। সামনের সাসপেনশন হিসেবে থাকছে Telescopic, 37 mm Conventional fork এবং পিছনে থাকছে Twin shock absorber, gas-filled with Canister Suspension। সামনে থাকছে 280 mm এর Disc (Single Channel ABS) এবং পিছনে 230 mm এর Disc Brake। ব্রেকিংটা অনেক ভাল কাজ করে। সামনের টায়ারটি হল 17-inch Alloy Wheel যুক্ত 80/100-17 সাইজের Tubeless Tire এবং পিছনের টায়ারটি 17-inch Alloy Wheel যুক্ত 120/80–17 সাইজের Tubeless Tire। মূলত টায়ারটির কারনে বাইকটি অনেক প্রিমিয়াম লুক দেয় এবং কন্ট্রোলিংটাও অনেক ভাল পাওয়া যায়।পালসারের আগের ভার্ষনটি থেকে এই ভার্ষনটিতে ইঞ্জনে বেশ পরিবর্তন আনা হয়েছে। ইঞ্জিনটি বেশ হালকা আর রিফাইন বলে মনে হয়েছে। তবে এই ইঞ্জিনটিতে আগের তুলনায় পাওয়ার ১ এইচ পি কমিয়েছে এবং টর্ক ১ এইচ পি বাড়িয়েছে। মোটরসাইকেলটিতে থাকছে 4-Stroke, 2-Valve, Twin Spark, BSIV Compliant DTS-i Engine এর 149.50 cc র একটি শক্তিশালী ইঞ্জিন যার 10.3 KW (14 PS) @ 8500 RPM এবং 13.25 NM @ 6500 RPM Toque সমৃদ্ধ। এটির অফিসিয়াল সর্বোচ্চ স্পিড প্রতি ঘন্টায় 115 KM/H এবং প্রতি লিটার তেলে প্রায় 65 KM/l বলে বলা হয়েছে। কিন্তু বাইকটির টেস্টে এটি প্রতি ঘন্টায় সর্বোচ্চ 120 KM/H উঠাতে সক্ষম হয়েছে এবং প্রতি লিটার তেলে City তে 45 KM/L এবং Highway তে 50 KM/L অতিক্রম করতে পারে।
ইঞ্জিনটি নতুন অবস্থায় বেশ দুর্বল দুর্বল মনে হয় কিন্তু কয়েকদিন গেলে অর্থাৎ ইঞ্জিন ফ্রি হবার পর এটি ঠিক হয়ে যায়। তবে ৮০ কিমি/ঘন্টা উঠানোর পর ইঞ্জিনে বেশ ভাইব্রেশন লক্ষ্য করা যায়।
গিয়ার পরিবর্তন খুব স্মুথ। ২ ও ৩ নং গিয়ার শর্ট রেডি। মূলত ভাল মাইলেজের কারনেই এটা করা হয়েছে।
বাইকটির প্রাইজ বর্তমান মার্কেটপ্লেস এর ভিতরে অফিসিয়াল এবং আনঅফিসিয়াল দোনুভাবেই পাওয়া যাচ্ছে। তবে বর্তমান বাংলাদেশ মার্কেটপ্লেস এর ভিতরে অফিসিয়াল ভাবেই এই বাইকটির প্রাইস নির্ধারণ করা হয়েছে 2,60,000 টাকা।1,76,256€ নির্ধারণ করা হয়েছে বর্তমান ইন্ডিয়ার মার্কেটপ্লেস এর ভিতরে অফিসিয়াল ভাবেই এই বাইকটির প্রাইস। আর 800 $ ডলারের আসে পাশে পেয়ে যাব আমরা এই স্পোর্টস বাইকটি বিশ্ব বাজারে। তার কারণ হলো এই বাইকটির প্রাইস বিশ্ব বাজারে আনঅফিসিয়াল ভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন