130 কিমি রাইডিং এর পরে হোন্ডা লিভো ১১০ সম্পর্কে যে মতামত দাঁড়ায় তা হচ্ছে বাইকটি সত্যিই ১১০ সিসি সেগমেন্টে বেশ স্টাইলিশ, সাশ্রয়ী, এবং নির্ভরযোগ্য। ইঞ্জিন, পারফরম্যান্স, এবং মাইলেজের দিক দিয়ে বাইকটি এই সেগমেন্টে অসাধারণ। অনেকদিন ধরে অনেকদূর চালানোর পরেও কমিউটার বাইকটির ইঞ্জিন পারফরম্যান্স মোটেই কমেনি। এর ডিজাইন এবং অন্যান্য ফিচার নিয়ে নিচে বিস্তারিত আলোচনা থাকছে এই হোন্ডা লিভো ১১০ রিভিউ তে Digital Bangla reviews এর মাধ্যমে।
Honda Livo 110-এর বিস্তারিত
হোন্ডা লিভো ১১০ এর ডিজাইন বাজারের অন্য যে কোনো ১১০ সিসি কমিউটার বাইকের চেয়ে বেশ আলাদা। বডি শেইপ এবং স্ট্রাকচারের দিক থেকে এটি অন্যান্য ১১০ সিসি কমিউটারের চাইতে আরও স্পিডি এবং স্পোর্টি লুকিং একটি বাইক। হেডল্যাম্পের কাউলের ডিজাইন পেছনের দিকে শার্প হয়ে উঠে যাওয়ায় কোনো শিকারি পশুর তীক্ষ্ণ কানের মতো মনে হয় যা বাইকটিকে আরও অ্যাগ্রেসিভ করে তোলে। এর টেইললাইটের ডিজাইনও বেশ আকর্ষণীয় রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। টেইললাইট উপরের দিকে বাঁকানো ভাবে উঠে গেছে যা সাইড থেকে এবং পেছন থেকে চোখে পরার মতো। ইঞ্জিন কাউলের হোন্ডা লোগো এবং পুরো বডির গ্রাফিক্স ডিক্যাল বাইকটির কালারের সাথে খুব ভালো কন্ট্রাস্ট তৈরি করে এবং খাপ খাইয়ে নেয়।চারটি চমৎকার কালারে লিভো ১১০ বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। কালো, ধূসর, নীল, এবং লাল ভ্যারিয়েন্ট কালারগুলোর নাম হচ্ছে ব্ল্যাক, ম্যাট অ্যাক্সিস গ্রে মেটালিক, অ্যাথলেটিক ব্লু মেটালিক এবং ইম্পেরিয়াল রেড মেটালিক। বাইকের স্টিকারগুলো কিন্তু বাইকের বডির জন্য বেশ আকর্ষণীয়।বাইকটির ইঞ্জিন বডিতে থ্রিডি শেপে Honda লোগো বসানো এবং এর বডির কার্ভ এবং গ্রাফিক্সের কারণে বাইকটিকে দেখতে বেশ স্পিডি মনে হয়।বাইকটির ফুয়েল ট্যাংকের ধারন ক্ষমতা ৮.৫ লিটার। এর দৈর্ঘ্য ২০২০ মিমি, প্রস্থ ৭৩৮ মিমি, উচ্চতা ১০৯৯ মিমি, হুইলবেস ১২৮৫ মিমি, সিটের উচ্চতা ৭৮০ মিমি, এবং গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স ১৮০ মিমি, যা বাংলাদেশের রাস্তার জন্য যথো পযোগী। বাইকটির ওজন মাত্র ১১১ কেজি।হোন্ডা লিভো ১১০ এ ব্যবহার করা হয়েছে ৪ স্ট্রোক, দুই ভাল্ভের সিঙ্গেল সিলিন্ডার এয়ার কুল্ড বিএস-ফোর ইঞ্জিন। ইঞ্জিনটির পারফরম্যান্স বেশ স্মুথ এবং রিফাইন্ড বলা যায়। হোন্ডা ড্রিম নিও বাইকেও একই ধরণের ই এইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। হোন্ডা এর ইকো টেকনোলোজি বা এইচ ই টি (HET) ইঞ্জিন ব্যবহারের কারণে ইঞ্জিনটি বেশ ফুয়েল এফিশিয়েন্ট।ইঞ্জিনটি ৭৫০০ আরপিএম এ ৮.৪৩ বিএইচপি ম্যাক্স পাওয়ার এবং ৫০০০ আরপিএম এ ৯.০৯ নিউটন মিটার ম্যাক্স টর্ক উৎপন্ন করতে পারে।৪ গিয়ারের ১১০ সিসি রিফাইন্ড ইঞ্জিনের বাইকটি ৮০ কিমি/ঘন্টার উপরে টপ স্পিড দিতে সক্ষম।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন