হিরো স্প্লেন্ডার সিরিজের মোটরসাইকেলগুলো কমিউটার ক্যাটাগরির মধ্যে অন্যতম সেরা মোটরসাইকেল। দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য এই বাইকগুলো অনন্য। একযুগেরও বেশি আগে হিরো বাজারে স্প্লেন্ডার সিরিজের বাইক নিয়ে আসে। বাজারে এখন অনেক ধরণের আধুনিক বাইক পাওয়া যায়। এগুলোর মধ্যে স্প্লেন্ডার বাইকগুলো এখনও গ্রাহক জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে, এবং প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক বিক্রীও হচ্ছে। এই বাইকটি বাজারে বেশ রিলায়েবল এবং বাজেট-ফ্রেন্ডলি মোটরসাইকেল হিসেবে জনপ্রিয়।Hero Splendor Pro হল Hero Splendor বাইকের একটি আপডেট ভার্সন। এটি হিরো মোটরসের অন্যতম বেশি বিক্রিত মোটরসাইকেল। কমিউটার ক্যাটাগরিতে এই বাইক গ্ৰাহকদের মধ্যে অনেক আস্থা সৃষ্টি করেছিল। বিশেষ করে চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, দৈনন্দিন কাজে ব্যবহারকারীরা এই বাইকটি ভালোভাবেই গ্রহণ করেছেন। বাইকটির দুর্দান্ত ডিজাইন, ইউনিক এরোডাইনামিক স্টাইল যেকোনো বাইকারকে আকৃষ্ট করবে। ২০১০ সালে প্রথম এই বাইকটি বাজারে লঞ্চ করা হয়েছিল। তখন বাইকটি বাজারে একটি ক্রেজ তৈরী করে ফেলেছিলো। কমিউটার ক্যাটাগরিতে এটি এখনো বাইকারদের পছন্দের তালিকার শীর্ষের দিকেই আছে। বাইকটি ৮টি কালার ভেরিয়েন্টে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে – ব্ল্যাক মনোটোন, প্যালেস মেরুন, ক্যান্ডি ব্লেজিং রেড, ক্লাউড সিলভার, এক্সেলেন্ট ব্লু, হেভি গ্রে, গ্রানাইট ব্লু এবং ব্ল্যাক বেগুনি। এই ব্লগে Hero Splendor Pro – রিভিউ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো ডিজিটাল বাংলা রিভিউস এর মাধ্যমে।
হিরো স্প্লেন্ডার প্রো ফিচার
Hero Splendor Pro হলো রেগুলার স্প্লেন্ডারের একটি কার্ভি ভার্সন, যা আধুনিক কিন্তু সিম্পল ডিজাইনের। হিরো একই আইকনিক ক্লাসিক ডিজাইন রেখেছে। এই বাইকে প্রয়োজনীয় সকল ইনস্ট্রুমেন্ট ইনস্টল করা আছে। ইন্সট্রুমেন্ট কনসোলে স্পিডোমিটার এবং ফুয়েল গেজ রয়েছে। বাইকের সামনে, টার্ন ইন্ডিকেটর সহ একটি বাঁকা আয়তক্ষেত্রাকার হেডল্যাম্প রয়েছে। যা বাইকে একটি দুর্দান্ত স্টাইল দিয়েছে। এটির সিলভার অ্যালয় হুইল এবং বডি গ্রাফিক্স এটিকে একটি স্ট্যান্ডার্ড লুক দেয়। বাইকের পিছনে একটি স্টপলাইট, টার্ন ইন্ডিকেটর এবং পিলিয়নের জন্য একটি সুন্দর গ্র্যাব হ্যান্ডেল রয়েছে। ফুয়েল ট্যাঙ্কের নীচে, বাইকারের জিনিসপত্র রাখার জন্য একটি ইউটিলিটি বক্স রয়েছে।সামনের ফুট-পেগ বাইকারদের আরো কমফোর্ট ভাবে বাইক চালাতে সাহায্য করে। সীটের উচ্চতা কম (৭৮৫ মিমি), তাই খাটো রাইডাররা ভালো ভাবেই বাইক কন্ট্রোল করতে পারেন। ফুট-পেগ যথেষ্ট, তাই লম্বা বাইকাররাও কমফোর্ট ভাবে বাইক চালাতে পারেন।এই বাইকের এভারেজ মাইলেজ প্রায় ৯০ কিঃমিঃ/লিঃ; যা এটিকে জ্বালানি সাশ্রয়ী বাইক হিসেবে বাজারে জনপ্রিয় এবং প্রতিষ্ঠিত করেছে। বাইকটি টেকসই এবং দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায়, বাইকাররা এটি দীর্ঘদিন দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার করতে পারেন। বাইকের ওজন, আকার এবং অন্যান্য ইন্সট্রুমেন্টের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। বাইকের ডিজাইনে আধুনিক টাচের জন্য গ্রাফিক্স দিয়ে আচ্ছাদিত করা হয়েছে। বাইকটির ফুয়েল ট্যাঙ্ক খোলার স্টাইল অন্যান্য বাইক থেকে আলাদা। ওভারঅল হিরো স্প্লেন্ডার প্রো ফিচারস সন্তোষজনক।বাইকটি ৫ রকম ভাবে স্টার্ট করা যায়, কিক এবং সেলফ স্টার্ট দুটোই আছে। স্টার্টিং সিস্টেমগুলো হল – স্পোক হুইল দিয়ে কিক স্টার্ট, অ্যালয় হুইল দিয়ে কিক স্টার্ট, অ্যালয় হুইল দিয়ে সেলফ-স্টার্ট, স্পোক হুইল দিয়ে সেলফ-স্টার্ট এবং কালো অ্যালয় হুইল দিয়ে সেলফ-স্টার্ট।১০০ সিসি’র সেগমেন্টের বাইক হিসেবে বাইকাররা এই বাইকের ইঞ্জিন পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট। হিরো উন্নত মানের ইঞ্জিনের জন্য বিখ্যাত। এটিতে ৯৭.২ সিসি’র ডিসপ্লেসমেন্ট ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। ইঞ্জিনটি এয়ার কুলড এবং ৪-স্ট্রোক একক সিলিন্ডার। ইঞ্জিনের কার্যকারিতা বাড়াতে ওভারহেড ক্যাম্সফ্ট (ওএইচসি) প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। এই ইঞ্জিন ৮.২৪ বিএইচপি @ ৮০০০ আরপিএম পাওয়ার উৎপন্ন করতে পারে। এবং ৮.০৫ এনএম @ ৫০০০ আরপিএম টর্ক উৎপন্ন করতে পারে। এই ইঞ্জিন যথেষ্ট শক্তিশালী এবং টেকসই। এছাড়া এই বাইকে ভালো মানের কার্বুরেটর এবং লেটেস্ট টেকনোলজির ইগনিশন সিস্টেম রয়েছে। ওভারঅল হিরো স্প্লেন্ডার প্রো দাম অনুযায়ী ইঞ্জিন পারফরম্যান্স বেশ ভালো।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন